বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ‘নাটক’, কর্মচারী গ্রেপ্তার 

  •    
  • ১০ জুলাই, ২০২১ ১৬:৪৫

ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে টিংকুর কথামতো একটি কালো রঙের গাড়ি থাকলেও কাউকে তুলে নিতে দেখা না যাওয়ায় পুলিশের সন্দেহ হয়। তার কথায়ও কিছু অসংগতি পাওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। শুরুতে অস্বীকার করলেও পরে ছিনতাইয়ের নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করেন তিনি।

চট্টগ্রামের আখতারুজ্জামান সেন্টারের দি সন্দ্বীপ জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী প্রদীপ বণিক। বিশ্বস্ত কর্মচারী সুদীপ্ত সাহা প্রকাশ টিংকু তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন দুই বছর ধরে।

সেই টিংকুকে টাকা তোলার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে নিজের চারটি এটিএম কার্ড ও পিন নম্বর দিয়েছিলেন প্রদীপ। কথা ছিল, শুক্রবার সকালে ১২ লাখ টাকা তুলে তার বাসায় নিয়ে যাবেন টিংকু।

তবে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে টিংকু ফোন করে প্রদীপকে বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগ্রাবাদ সিঅ্যান্ডএফ ভবনের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে ফেরার সময় কালো রঙের একটি মাইক্রোবাস তার সামনে থামে। নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওই সময় চার-পাঁচজন লোক তাকে গাড়িতে উঠতে বলেন।

‘তিনি গাড়িতে উঠতেই সঙ্গে থাকা ১২ লাখ টাকা নিয়ে নেয়া হয়। এরপর তার কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে মামলা দেয়ার হুমকি দেখানো হয়। পরে বান্দরবানে নিয়ে গিয়ে হাত ও চোখ বেঁধে তাকে পাহাড়ে ছেড়ে দেয়া হয়।’

ঘটনার পর টিংকু ডবলমুরিং থানায় অভিযোগ দেন। পরে তাকে বান্দরবান থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

তদন্তের সময় ঘটনাস্থলের ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজে অবশ্য দেখা যায় অন্য চিত্র। টিংকুর কথামতো একটি কালো রঙের গাড়ি থাকলেও কাউকে তুলে নিতে দেখা না যাওয়ায় পুলিশের সন্দেহ হয়।

টিংকুর কথায়ও কিছু অসংগতি পাওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। শুরুতে অস্বীকার করলেও ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে টাকাগুলো আত্মসাৎ করার চেষ্টা করেছিলেন বলে শুক্রবার রাত ১টার দিকে স্বীকার করেন তিনি।

টিংকুর প্রাথমিক স্বীকারোক্তির পর শনিবার সকালে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ব্যবসায়ী প্রদীপ। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। টিংকুর বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা পুরো ঘটনাটি টিংকুর মুখে শুনে বিষয়টি তদন্ত করে দেখি। এতে কিছু অসংগতি পাওয়ায় কর্মচারী টিংকুকেই সন্দেহ হয় আমাদের। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ঘটনাটি সাজানো বলে স্বীকার করেন তিনি।

‘তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা এলাকায় তার বোনের বাসা থেকে ১১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ও চারটি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।’

শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর